chapaiambazar2018@gmail.com>
বিজ্ঞানের অপব্যাবহারের আরেক নাম মৃত্যু, কার্বাইড তার উদাহরণ। যে কার্বাইড বৈজ্ঞানিক কাজে ব্যাবহার উপযোগী আজ সেই কার্বাইড কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী ব্যাবহার করছে আম পাকাতে, যা আমাদের প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই সবসময় আমাদের কার্বাইড থেকে সাবধান থাকতে হবে। চলুন, জেনে নেয়া যাক কার্বাইড মুক্ত আম চেনার উপায়:
১. প্রথমেই লক্ষ্য করুন যে আমের গায়ে মাছি বসছে কিনা। কেননা কার্বাইডযুক্ত আমে মাছি বসবে না।
২. আম গাছে থাকা অবস্থায় বা গাছ পাকা আম হলে লক্ষ্য করে দেখবেন যে আমের শরীরে এক রকম সাদাটে ভাব থাকে। কিন্তু কার্বাইড বা অন্য রাসায়নিকে চুবানো আম হবে ঝকঝকে সুন্দর।
৩. কার্বাইড বা অন্য কিছু দিয়ে পাকানো আমের শরীর হয় মোলায়েম ও দাগহীন। কেননা আম গুলো কাঁচা অবস্থাতেই ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়। গাছ পাকা আমের ত্বকে দাগ পড়বেই।
৪. গাছপাকা আমের ত্বকের রঙে ভিন্নতা থাকবে। গোঁড়ার দিকে গাঢ় রঙ হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কার্বাইড দেয়া আমের আগাগোড়া হলদেটে হয়ে যায়, কখনো কখনো বেশি দেয়া হলে সাদাটেও হয়ে যায়।
৫. হিমসাগর ছাড়াও আরও নানান জাতের আম আছে যারা পাকলেও সবুজ থাকে, কিন্তু অত্যন্ত মিষ্টি হয়। গাছপাকা হলে এইসব আমের ত্বকে দাগ পড়ে। ওষুধ দিয়ে পাকানো হলে আমের শরীর হয় মসৃণ ও সুন্দর।
৬. আম নাকের কাছে নিলে সুন্দর পাকা আমের ঘ্রাণ পাবেন । গাছ পাকা আম হলে অবশ্যই বোটার কাছে ঘ্রাণ থাকবে। ওষুধ দেয়া আম হলে কোনও গন্ধ থাকবে না।
৭. আম কেনা হলে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এমন কোথাও রাখুন যেখানে বাতাস চলাচল করে না। গাছ পাকা আম হলে গন্ধে মৌ মৌ করে চারপাশ। ওষুধ দেয়া আমে এই মিষ্টি গন্ধ হবেই না।